Saturday, 19 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

দাগনভূঞায় (ফেনী) যুবদলের স্বাগত মিছিলে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ: আহত ৩

ইয়াছিন রনি

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


পিন্টু

ফেনী জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে দাগনভূঞা পৌর যুবদলের মিছিল আয়োজনকে ঘিরে শুক্রবার দুপুর থেকে দাগনভূঞা বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। এসময় প্রশাসনকেও নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। ভিড়িও করার সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের উপর তেড়ে আসেন সাজু নামের এক যুবদল কর্মী। 

দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন জানান,  ফেনী জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৌর যুবদল আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে। আমাদের মিছিল অনুষ্ঠানের পূর্বে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জামশেদুর রহমান ফটিকের নেতৃত্বে চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সেনবাগের বোমা পারভেজসহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আমাদের মিছিলের উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের হামলায় পৌর যুবদল নেতা সালমান ফারুক, নুর আলম ও রহিম মারাত্মকভাবে আহত হয়। তারপরও আমরা কোনপ্রকার বিভেদের না জড়িয় আমাদের নেতাকর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করি।  কিন্তু ফটিকের নেতৃত্বে ওই সন্ত্রাসীবাহিনী আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বারংবার হামলা করার চেষ্টা করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিক জানান, আমি কোন গ্রুপেরই নেতৃত্ব দিইনি। আমি যখন শুনেছি পৌর যুবদলের একটি গ্রুপ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যারা যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছে তারা বাঁধা প্রদান করছে। তখন আমি ছুটে এসে দুই পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করি। 

যুবদল নেতা বাবলু জানান, বিগত ১৭ বছর যাদের রাজপথে দেখিনাই তারা এখন ম িছিল করার কোন অধিকার রাখেনা। নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা তাদের মিছিল করতে দিবেনা।

বাজারের ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জানান, দাগনভূঞা বাজারে প্রায় প্রতিদিনই এরকম মারামারি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলছে। এসব ঘটনায় দিনদিন বাজারের ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ক্রেতারা বাজার বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।  এভাবে চলতে থাকলে বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানের মুখে পড়বে।

এবিষয়ে সদ্যঘোষিত ফেনী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত জানান, পৌর যুবদল আনন্দ মিছিল করবে সে বিষয়ে আমাকে জানায়নি। আর কে মিছিলে বাঁধা দিয়েছে তাও আমি শুনি নাই। আমি বিষয়টি পুরোপুরোভাবে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান জানান, দাগনভূঞায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু দুই গ্রুপের কেউই প্রশাসনের কথা শুনছেনা।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত